দেশের স্বাস্থ্যখাতে বিপুল সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সংস্থাটির সদর দপ্তরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এসব আশ্বাস দেন ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। গতকাল শনিবার (২৫ মে) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বস্বাস্থ্য সম্মেলনে যোগদানকারী বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল শনিবার সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুসের সাথে দ্বিপাক্ষিক সভায় মিলিত হন। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সাথেই মহাপরিচালক প্রথম আলোচনা সভাটি শুরু করেন।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতে বিগত ১৫ বছরের অর্জন, করোনা অতিমারী মোকাবেলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমর্থন ও সহযোগিতা, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশসমূহের আঞ্চলিক পরিচালক পদের নির্বাচনে ড. সায়েমা ওয়াজেদ পুতুলকে বিপুল বিজয় ও সহযোগিতার জন্য মহাপরিচালককে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বাংলাদেশে সংক্রামক ও অসংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ, ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট স্থাপন ও ভ্যাকসিন তৈরি, কমিউনিটি ক্লিনিককে জনস্বাস্থ্য সেবার মূল কেন্দ্রে রেখে অধিকতর শক্তিশালীকরণ, আউট অব পকেট এক্সেপেন্ডিচার বা নিজস্ব ব্যয়ে খরচ কমানোসহ ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জনে স্বাস্থ্যখাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আরো বেশি সহযোগিতা প্রদানের বিষয়ে মহাপরিচালকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন মহাপরিচালক ড. টেড্রোসকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণও জানান।
এ সময় ড. টেড্রোস বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের বিপুল অর্জন ও উত্তম সেবার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সকল প্রয়োজনীয় সমর্থন ও সহযোগিতা দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, আজ রোববার (২৬ মে) জেনেভায় শুরু হচ্ছে বিশ্বস্বাস্থ্য সম্মেলন। চলবে আগামী ১ জুন পর্যন্ত। এর আগে গতকাল শনিবার কমনওয়েলথভুক্ত দেশের মন্ত্রীদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, জেনেভাস্থ বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ভারপ্রাপ্ত প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, যুগ্ম সচিব মো. মামুনুর রশীদ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
ফজর | ৫.৩০ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৪ টা বিকাল |
মাগরিব | ৬ টা সন্ধ্যা |
এশা | ৭.৩০ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৪০ মিনিট দুপুর |