সকল ধরনের অবৈধ পদোন্নতি বাতিল করতে হবে, সকল ধরনের অবৈধ পদায়ন বাতিল করতে হবে এবং চলমান প্রমার্জনার সকল প্রক্রিয়া স্থায়ী আদেশ ভাবে বাতিল ঘোষণা করতে হবে এবং এসব অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে বিধিমোতাবেক কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) প্রেসক্লাবে জহুর হোসেন হলে বিধি সংশোধন করে স্বাস্থ্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করে নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের সুবিধা প্রদানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মোলনে এসব কথা বলেন বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের কর্মকর্তাবৃন্দ।
তাদের দাবিগুলো হচ্ছে, সকল ধরণের অবৈধ পদোন্নতি বাতিল করতে হবে , সকল ধরণের অবৈধ পদায়ন বাতিল করতে হবে, চলমান প্রমার্জনার সকল প্রক্রিয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং এসব অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়াও তারা বলেন, বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের সম্ভাব্য সংখ্যা ৩৫ হাজার। মুষ্টিমেয় কয়েকজনের স্বার্থে বিদ্যমান আইন সংশোধন করে তা বাস্তবায়ন করা হলে সম্ভাব্য ১৫ হাজার স্বাস্থ্য ক্যাডার কর্মকর্তা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানান তারা।
বিসিএস পাস করা ক্যাডারভুক্ত চিকিৎসকেরা অভিযোগ করছেন, অ্যাডহকে নিয়োগ পাওয়া কিছু চিকিৎসককে সুবিধা দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভুল তথ্য দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে। আদালতে একটি চলমান মামলার কথা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়নি।
স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ডা মোহাম্মদ নেয়ামুল হাসান বলেন, কোনো পরীক্ষা বা প্রশিক্ষণ নেয়নি, যারা বিসিএস এ অকৃতকার্য হয়েও এনক্যাডার হয়েছে, এনক্যাডারের পরে পুনরায় বিসিএস ক্যাডারের ৫ টি শর্ত হতে কেনো মাফ পাবে এবং বিসিএস পাশকৃতদের চেয়ে উপরে স্থান পাবে তা আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। আপনাদের কাছে আমরা প্রশ্ন রাখলাম।
এ সময় স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ডা. উম্মে তানিয়া নাসরিন বলেন, আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে যাতে স্পষ্টতই বোঝা যায় যে, পূর্ববর্তী প্রায় ৬ শতাধিক অবৈধ পদোন্নতিকে বৈধতা দিতে এই সংশোধন করা হচ্ছে। এনক্যাডারমেন্টের আগেই চাকরির সব বিধি-বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রায় ৬ শতাধিক নন-ক্যাডার কর্মকর্তাকে, ক্যাডারদের জন্য সংরক্ষিত পদে ৬ষ্ঠ গ্রেডে পদোন্নতি দেয়া হয়েছিল। এবার তাদের অবৈধ পদোন্নতিকে বৈধতা দিতেই এই সংশোধন করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মোলনে ক্যাডারভুক্ত চিকিৎসকেরা আরো বলেন, আমরা আমরা মাননীয় মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, সরকারি কর্মকমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরগুলোতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সকল অনিয়মসহ লিপিবন্ধ করে জন্য দিয়েছি যার প্রাপ্তিস্বীকার পত্র আমাদের নিকট রয়েছে। সকল প্রমান থাকার পরও প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি উক্ত প্রমার্জনার ফাইলে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। উক্ত ফাইলটি জনপ্রশাসন হয়ে বর্তমানে কর্মকমিশনের সুপারিশের অপেক্ষা করছে। এগুলো আমাদের স্বাস্থ্য ক্যাডারের সাথে চরমতম অন্যায়। আমরা সকল ক্যাডারকে আমাদের সাথে হওয়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। ক্যাডারকে এডহক (নব এনক্যাডার) কর্মকর্তাদের অধীনস্ত করার রেওয়াজ কোনো আইন ও বিধিতেই সমর্থন করে না, শতভাগ অবৈধ।
ফজর | ৫.৩০ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৪ টা বিকাল |
মাগরিব | ৬ টা সন্ধ্যা |
এশা | ৭.৩০ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১.৪০ মিনিট দুপুর |